"মহান রবের সাথে একান্ত আলাপনের সময়সূচি"

"মহান রবের সাথে একান্ত আলাপনের সময়সূচি"

আপনি যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সাথে সাক্ষাৎ করতে চান, তাহলে তার সময়, ব্যস্ততা ও বাস্তবতার আলোকে সিডিউল নিতে হয়। সিডিউল পেলেও তা হয় খুবই লিমিটিড। মনে করুন, এখন সময় রাত ১০.০০টা। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে আপনার এই মুহূর্তে খুবই প্রয়োজন। ব্যক্তিগত অথবা রাষ্ট্রের জরুরি কোনো বিষয় আপনি শেয়ার করতে চান। সময়সূচি আগামীকাল সকাল ১০.০০টা হলেও কিন্তু হবে না। আপনাকে এখনই বলতে হবে। আমি জানি না এটা সম্ভব কি না। এর জন্য কতশত প্রটোকল আছে তাও জানি না। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনি যদি সরকার বিরোধী মতের কেউ হোন, তাহলে আপাতত সাক্ষাতের চিন্তা বাদ দিলেই ভালো হয়।

কিন্তু এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?

এই পৃথিবীর সকল ক্ষমতার মালিক যিনি, আমাদের মহান রবের সাথে সাক্ষাতের জন্য আপনার কোনো সময়সূচির প্রয়োজন নেই। তিনি আমাদের এতটাই নিকটবর্তী থাকেন যে, যখন, যেখানে, যেভাবে ইচ্ছা আপনি চাইলেই আপনার রবকে পেয়ে যাবেন। পবিত্র কুরাআনে মহান আল্লাহ এই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন,

وَ اِذَا سَاَلَكَ عِبَادِیْ عَنِّیْ فَاِنِّیْ قَرِیْبٌ١ؕ اُجِیْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَان-

আর হে নবী! আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই। (সূরা বাক্বারা, আয়াত-১৮৬ দ্রষ্টব্য)

পুনশ্চ: আপনি চাইলেই যেকোনো সময় মন খুলে, প্রাণ খুলে আপনার রবের সাথে একান্ত আলাপ করতে পারেন। এই আলাপনে সময়ের কোনো নির্দিষ্টতা নেই। চাওয়া-পাওয়ার এক সীমাহীন, অবারিত সুযোগ। তিনি এমন রব, যিনি আপনার কথা শুনতে শুনতে কখনোই ক্লান্ত হোন না, বরং আপনিই হয়তো বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহি। সুবহানাল্লাহিল আযীম।

মন্তব্য