বিবেকের দরজা খোলা রাখা

বিবেকের দরজা খোলা রাখা

প্রতিটি প্রাণ শুভ্রতা ও নিস্পাপ একটি মন নিয়েই পৃথিবীতে আগমন করেন। কিছুদিন পর তাকে সমাজ বিভিন্ন মানদন্ডের আলোকে এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভালো অথবা খারাপ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এখন যে প্রশ্নটি জাগ্রত হয় তাহলো, এই ভালো ও খারাপের মানদন্ড কে ঠিক করবেন?

খুব স্বাভাবিকভাবেই এবং কোন ইনিয়েবিনিয়ে মাধ্যম ব্যবহার না করে আপনাকে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাদের লাইফস্টাইল ও ভালো-মন্দের মানদন্ড ঠিক করবেন। আপনার যদি এই বিষয়ে কোন আপত্তি থাকে তাহলে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে আপনি এর চেয়ে ভালো কোন মানদন্ড ঠিক করতে পারবেন কি? আসলেই পারবেন না। রিপিট আসলেই পারবেন না। এখন চ্যালেঞ্জ নিবেন নাকি আল্লাহর দেওয়া মানদন্ড স্বীকার করবেন সেটার চিন্তা ও সীদ্ধান্তের স্বাধীনতা আপনাকে আল্লাহর পক্ষ থেকেই দেওয়া আছে।

এখন মূল পয়েন্টে যাওয়া যাক। আচ্ছা এই যে মানুষ ভালো কিংবা মন্দের মানদন্ড জেনে বুঝেও কেন খারাপ মানুষের কাতারে যায়? কোন বুদ্ধিমান মানুষ কি জেনে বুঝে কখনো খারাপটা গ্রহণ করতে পারে?

মহান আল্লাহ আমাদেরকে দয়া করে, ভালোবেসে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক নামের কিছু মহা সম্পদ দান করেছেন। যারা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তারাই তাদের সৃষ্টির সূচনার শুভ্রতাকে ধরে রাখতে পারেন এবং আল্লাহর দেওয়া মানদন্ডের আলোকে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হন। যদি বিবেকের যথাযথ ব্যবহার না হয় তাহলে তার পরিণতি ধীরে ধীরে খারাপ থেকে খারাপের দিকেই যাবে এটাই স্বাভাবিক।

সমাপ্ত পয়েন্টঃ সত্যিকার বুদ্ধিমানরা বিবেবেকের দরজা সবসময়ই খোলা রাখেন। সেখানে কোন তালা এটে দেন না। তারা একঘেয়ে হয় না। তারা সব কিছু চিন্তা করে, অভজার্ভ করে এবং জেনে-বুঝেই প্রতিটি পদক্ষেপের স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পাশাপাশি আল্লাহর মনদন্ডে এই ভালো মানুষগুলো অন্যদের বিবেকের দরজায় নিয়মিত নক করার চেষ্টা করেন। কারণ তারা শুধুমাত্র একা একা কিংবা নিজেরাই ভালো মানুষ হবেন এটা চান না। বরং সবাইকে নিয়েই ভালো মানুষ হতে চান। সবাইকে নিয়েই আল্লাহর প্রিয় হতে চান। সুন্দর সমাজ ও পরিবেশ গড়তে চান। এরজন্য প্রয়োজন সবার বিবেকের দরজা খোলা রাখা।

মন্তব্য